প্রকাশিত: ১১/০৪/২০১৭ ৯:৫০ পিএম

এ.এম হোবাইব সজীব::
উত্তর মহেশখালী জনপদে সামান্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলে পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হয়। কিন্তু মহেশখালীর সদরের মূল ভ-খন্ডের সোনাদিয়ায় চর দখলকে কেন্দ্র করে গুলির বিকট শব্দ হলেও পত্রিকায় পাতায় সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মহেশখালীর সোনাদিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিরোধী দল বিএনপি’র দাপুটে নেতারা চর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  এখন দুই দলের নেতারা চর দখল করতে সেখানে এক হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য জানা গেছে। সরেজমিন গিয়ে স্থানিয় অধিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দর্যে ভরপুর সোনাদিয়া এখন আর শান্ত নেই। প্রতিদিন শোনা যায় গুলির বিকট শব্দ। আস্তানা গেড়েছে পেশাদার সন্ত্রাসীরা। অনেকের পরনে হাফপ্যান্ট পুলপ্যান্ট কাঁদে লম্বাবন্দুক, ত্রি-কোয়ার্টার বন্দুক, কাটা বন্দুক ও ভারী অস্ত্রসহ একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ অবস্থান করছেন সোনাদিয়া দ্বীপে। মজুদ করেছে দেশের সবচেয়ে বড় ধরনের অস্ত্রের ভান্ডার। পেছন থেকে নয় এখন সামনে থেকেই এসব সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বন বিভাগের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে গুলি বর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এসব সন্ত্রাসীদের লালন করা মধ্যে অনেকের নাম উঠে এসেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর ছেলে মোস্তাফা আনোয়ার এবং বিএনপির নেতা হাবিব উল্লাহ। তবে পৌরসভা আওয়ামীলীগের  সভাপতি পৌর মেয়র মেকছুদ মিয়ার নাম ও শোনা যাচ্ছে। এদিকে মহেশখালী থানার নবাগত দুঃ সাহসিক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারী দেওয়ায় অনেক সন্ত্রাসী ভয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পন ও করেছে। তিনি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছেন ডজনখানিক সন্ত্রাসী উদ্ধার করেছেন বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র। সোনাদিয়ার এসব সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজন মনে করছেন এলাকাবাসী। এদিকে চরদখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় গণমাধ্যমে কিছু সংবাদ প্রকাশ হলে তেমন দৃশ্যমান সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে না পত্রিকায় পাতায়। দাপটু নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিকদের উপর হুমকি ধমকি ও আসতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাই তেমন সংবাদও প্রকাশ হচ্ছেনা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা আওয়ামীলীগের দু: প্রভাবশালী নেতার ইন্ধানে তারা এমন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। জানাগেছে, উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া সংলগ্ন তাজিয়াখাটা এলাকায় প্রায় ১১”শ একর জায়গা জুড়ে উঠেছে বিশাল চর।  ইতিমধ্যে চারটির শ’ খানেক এককর জায়গায় উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে সৃজন করা হয় প্যারাবন।  কিছুর চর রয়েছে  যেগুলো দীর্ঘদিন প্রভাবশালীদের দখলে। চরে সর্ম্পূণ অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরি করেছেনে তাঁরা। বাকী জায়গা গুলোখাস হলেও দীঘদিন ধরে  অব্যবহ্নত অবস্থায় ছিলো। বঙ্গোপসাগরের করাল থাবায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এ কারনে বেশিরভাগ চর কোউ দখল করে না। সাম্প্রতিক সময়ে তাজিয়া কাটায় জেগে উঠেছে আরো কয়েকটি নতুনচর। ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৩’শ একরের অধিক চরগুলোতেই এখন উপজেলার প্রভাবশালী মহলের লোলুপ দৃষ্টি। ৮০ এককর জায়গা বাঁধ দিয়েছেন মোস্তফা আনোয়ার। বিএনপির নেতা হাবিব উল্লাহ দখল করে নিয়েছেন ৫০ একরের অধিক চরের অংশ। দখলকৃত অংশে করেছেন লবণের চাষ। এ ক্ষেত্রে হাবিব উল্লাহ এগিয়ে রয়েছেন। মহেশখালীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী তাজিয়াকাটায় জমায়েত ঘটিয়েছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ যে যে কোন সময় দখলবাজদের মধ্যে বড় ধরনের সংর্ঘষ ঘটতে পারে। বিষয়টি ইতিপূর্বে মহেশখালী উপজেলা আইনশৃংঙখলা কমিটির সভাতেও আলোচিত হয়েছে। এখানে রাতে ও দিনের বেলায় থেমে থেমে গুলির বিকট শব্দে জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, তাজিয়াকাটার পরিস্থিতি আমি জানতে পেরে উপজেলা আইনশৃংঙখলা কমিটির সভায় উথাপন করি। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমাকে জেলা প্রশাসনকে জানানোর কথা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ বলেও জানান চেয়ারম্যান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...